আ.লীগের পরিবর্তনে টালমাটাল দারোগা ইবায়দুল্লাহ | তদন্ত রিপোর্ট

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

আ.লীগের পরিবর্তনে টালমাটাল দারোগা ইবায়দুল্লাহ

আ.লীগের পরিবর্তনে টালমাটাল দারোগা ইবায়দুল্লাহ

তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: আওয়মী লীগ সরকারের পট পরিবর্তনের পর প্রশাসনের যখন টালমাটাল অবস্থা। তখন বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা সিলেট সহ সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশের স্থাপনায় আগুন কিংবা ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায় সরকারি অস্ত্র সহ মুল্যবান কাগজপত্র। তখন নিজের জীবন রক্ষায় অনেক পুলিশ সদস্য গা ডাকা দিয়েছেন। অনেকে মামলার আসামী হয়ে আজও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার অনেকে কারাগারে আছেন। কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সেই সময় প্রশাসনের নাজুক অবস্থা বিগত ৫৩ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসকে হার মানিয়েছে বলে পুলিশের অনেক সদস্য মন্তব্য করেছিলেন।

সিলেট এসএমপির নাজুক এই কঠিন সময় লগ্নে সিলেট এসএমপিতে আসেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম। তিনি এসে সেই নাজুক পরিস্তিতিতে হাল ধরেন। কাজ শুরু করেন এসএমপির পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে। অনেক বির্র্তকীত পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র বদলী করেন। বিশেষ করে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে যারা এসএমপিতে নিজের বাপ-দাদার জমিধারী মনে করতো তাদেরকেও ছাড়দেননি তিনি। এতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান কমিশনার। ধিরে ধিরে এসএমপির আইনশৃংখলা পরিস্তিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।

এসএমপি এলাকায় যে কোন পরিস্তিতিতে যত বড় ঘটনাই হউক কমিশনার নিজেই হাজির হন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন। ব্যতিক্রম হয়নি সম্প্রতি নগরীর মাছিমপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায়ও। তিনি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। যেই কথা সেই কাজ করিয়েও দেখিয়েছেন। কিন্তু বিগত কয়েক মাস থেকে কমিশনারের সেই কঠোর পরিশ্রমকে মলিন করে দিচ্ছেন কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। যদিও অভিযোগ গুলো কমিশনার পর্যন্ত পৌছাঁয় না। বা ভুক্তভোগীরা সে পর্যন্ত যাওয়ার পথও খোঁজে পান না।

সিলেট এসএমপির বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িটি সিলেটের সবচেয়ে পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির একটি। যেটি শহরের প্রাণ কেন্দ্র বন্দর বাজারে অবস্তিত। হঠাৎ করে বিগত সরকারের শাসন আমল থেকে একের পর এক অঘটনের জন্ম দিচ্ছে ফাঁড়িটি। বিগত দিনে ফাড়ির ইনচার্জের হাতে সিলেটের রায়হান নামক এক যুবক খুন হলে পুলিশ ফাঁড়িটি বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। তাই সেই থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতা এই পুলিশ ফাঁড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। যদিও এখন ফাঁড়ির সকল কার্যক্রম থানায় বসেই করেন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তবে ফঁড়ির র্বির্র্তকীত কর্মকান্ড যেনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা।

স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ১৫টি বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের যে দারোগা বা এসআই দমন-নিপীড়ন করেছিলেন তিনি এখন কোতয়ালী থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসির দায়িত্বে আছেন কি করে? যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে মাঠে থেকে নিরিহ ছাত্র-জনতার উপর নির্মম নিপিড়ন চালিয়েছেন তাকে কি উপহার হিসাবে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাম তার উবায়দুল্লাহ বাড়ি ভৈরব জেলায়। তিনি সিলেট এসএমপিতে চাকরি করছেন প্রায় ১৫ বছর থেকে। কিনেছেন বাসা বাড়িও। ঘুরে ফিরে তিনি এসএমপি ৬টি থানায় ১৫ বছর সময় অতিবাহিত করেছেন।

তিনি গর্ব করে নিজেকে আওয়ামী ঘরোনার লোক পরিচয় দিতেন। সিলেটের বাসিন্দা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের কাছের লোক হিসাবে পরিচয় দিয়ে এসএমপির প্রায় সব কয়টি থানাই সুবিধা জনক ভাবে চাকরি করেছেন। বিগত সরকারের শাসন আমলে তিনি থানার ওসির চেয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাতেন। তবে আইনের চেয়ে বে-আইনি ক্ষমতার ধাপট ছিলো বেশী। শাহপরাণ থানা থানায় কর্মরত থাকাকালে হরিপুরে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনিই থানা পুলিশের নামে টাকা আদায় করতেন।

একদিকে বিএনপি-বা জামায়াত শুনলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন, যার প্রমান মিলে গত বছরের ১৭ জুলাই বুধবার কোটা সংষ্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজার নামাজের অনুষ্টানের সময়ে। সে সময় গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। বাদ যোহর বিকাল ৩টায় সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে গায়েবানা জানাজার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা হয়ে দাড়ান এসআই উবায়দুল্লাহ। সে সময় বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা রেজিস্টারী মাঠে জড়ো হলে এ সময় পুলিশের একটি টিম নিয়ে তাদের রেজিষ্ট্রারী মাঠে প্রবেশে বাধা প্রদান করেন এই এসআই ইবায়দুল্লাহ। মাঠের গেইট বন্ধ করে থালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। পরে বাধ্য হয়ে সুরমা মার্কেট মসজিদের সম্মুখে গায়েবানা জানাযা করে বিএনপি। তৎকালীন সময় শাহপরাণ থানায় কর্মরত ছিলেন এই এসআই উবায়দুল্লাহ।

তিনি শাহপরাণ থানায় কর্মরত থাকলেও কোতয়ালী পর্যন্ত ছিলো তার প্রভাব। ফলে বন্দরবাজার রেজিষ্ট্রারী মাঠে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে আসেন তিনি। সে সময়কার কিছু স্থিরচিত্র এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। সাংবাদিক আবু তুরাবের উপর যেদিন পুলিশ গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। সেদিনও তিনি বন্দরবাজার এলাকায় ছিলেন বলে তার কাছেন এক সংবাদকর্মী জানান। অথচ তিনি সে সময় শাহপরাণ থানায় কর্মরত ছিলেন।

ইবায়দুল্লাহকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো কেন এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এসএমপিতে দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে কর্মরত আছেন। তাই বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোই চিনতেন। তাদের ধড়-পাকড়ানো ছিলেন বেশ চতুর। গত ১৭ তারিখ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে হুমকি ও বাধা দিতে দেখা গিয়েছিলো এই উবায়দুল্লাকে। এ সময় নাকি তার উপর দায়িত্ব ছিলো বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ি গিয়ে তাদের গ্রেফতার করা। গত বছরের ৫ই আগষ্টের পর সরকার বদল হলে এসএমপি সকল পুলিশ রদবদল হলেও এসআই উবায়দুল্লাহকে পোষ্টিং করা হয় কোতয়ালী থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে, তিনি এখন বন্দবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।

এদিকে বিগত কয়েক মাস থেকে বন্দরবাজার এলাকায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা রকম অপরাধ। বিশেষ করে দিনে-রাতে অন্তত ১০ থেকে ১২টি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মহিলাদের ব্যানেটি ব্যাগ, মোবাইল, গলার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। থানায় মামলা করতে গেলে হয় জিডি। যদিও থানার টহল পুলিশ আর ডিবির সাদাপোষাক ধারীদের হাতে একাধিক ছিনতাইকারী ইতিমধ্যে আটক হয়েছেন। অথচ ফাঁড়ির আইসি উবায়দুল্লাহ নিজেই নাকি ঘুরেন ছিনতাইকারীদের সাথে নিয়ে এমন অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নগরীর কয়েকটি এলাকা ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ ঘাটি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। যা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্ভক্ত। পুরাতন জেল কোয়ার্টার, কাষ্টঘর গলি, মহাজনপট্টি, পুরাতন পুলেরমুখ ও বন্দরবাজার, ওভারব্রিজ এলাকা। এসব এলাকা দিয়ে যেতে দিনের সাধারণ মানুষ ভয় পায়। গত ৫ আগষ্টের পর এলাকাগুলো যেনো অনিরাপদ হয়ে উঠেছে পথচারীদের কাছে।

পথচারিরা অভিযোগ করেন, ছিনতাকারীরা ছিনতাই করতে না পারলে তারাই মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার করে। পরে পুলিশ আসলে একটি চুর পুলিশ খেলা চলে, এমন দৃশ্যগুলো বন্দরবাজার এলাকার প্রতিটি মার্কেটের সিসি ক্যামেরা চেক করলে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিতকৃত কর্মকান্ডের কারণে সংবাদ প্রকাশ হলে সেখান থেকে বদলী হন এএসআই ইলিয়াস। মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিলো বেশী।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এসএমপি সাবেক এক পুলিশ সদস্য জানান, বিগত আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও তার গ্যানম্যানের কথায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বাণিজ্যে উবায়দুল্লাহ ছিলেন বেশ আলোচিত। যার ফলে তাকে এসএমপি থেকে বিগত আ.লীগের আমলেও কেউ বদলী করতে পারেনি। এখনোও পারবে বলে মনে হয়না। এখন তিনি সুবিধাবাধীদের দলের হয়ে কাজ করছেন। তিনি যে সব সোর্স নিয়ে ঘুরে বেড়ান তার বেশীর ভাগই আওয়ামী লীগের চেলাচামুন্ডা। এ রকম কয়েটি ছবি, ভিডিও কল রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে বিভিন্ন ভুক্তভোগী জমা দিয়েছেন। এখন ফাঁড়িতে থাকা আইসির ও তার সোর্সদের টার্গেটই হচ্ছেন ভোরে বাস বা ট্রেনের যাত্রী, সিলেটে আসা পর্যটক, মাজারে আসা দম্পতি, সাধারন ব্যবসায়ীরা। ফাঁড়িতে না নিয়ে নিরীহ পথচারীদের আটকিয়ে পিঠিয়ে বা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় আর হয়রানি নিত্যদিনের ঘটনা।

বন্দর বাজারের ছিনতাইকারীদের পকেটেই থাকে মাদক ও ধারালো অস্ত্র-চাকু। ছিনতাই কান্ডে বাধা দিলেই এসব ছিনতাইকারীরা ধারালো চাকু-ব্লেড দিয়ে আঘাত করে পথচারীদের। ফাঁড়ির আইসি বা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে তারা বলে আমাদের কিছু করার নাই আপনারা হাসপাতাল যান। কোর্টে মামলা করেন।

সিলেট নগরীর ফুটপাত থেকে হর্কার উচ্ছেদ করতে এসএমপি পুলিশ কমিশনার, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন সহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বারবার মিটিং করলেও কোন ভাবে সিলেট নগরীর ফুটপাত হর্কারমুক্ত করতে পারছেন না। কারণ নৈপথ্যে রয়েছে, বন্দরবাজর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি উবায়দুল্লাহ ওপেন চাঁদাবাজী। নিজের কিছু সোর্স দিয়েই তিনি দীর্ঘদিন থেকে নিরিহ হর্কারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে নাম প্রকাশ না করে একাধিক হর্কার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ হলে পরের দিন তারা আর ফুটপাতে বসতে পারবেন না। গত ২৭ রমজান মহাজনপট্টি হাজী সোনা মিয়ার দোকান থেকে যাকাতের কাপড় কিনে বাড়ি ফিরা পথে ছিনতাইকারীদের টার্গেট হন জনৈক দেলোয়ার হোসেন। ঐ দিনের ঘটনার বিষদ বিবরণ এ প্রতিবেদকের কাছে দিয়েছেন। যা গত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়ছে। দেলোয়ার হোসেন এখন পর্যন্ত ফাঁড়ির আইসির সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন গত ৯ এপ্রিল বুধবার এ প্রতিবেদককে জানান। নিরিহ এক চা দোকানের মালিককে গ্রেফতার করে গাজা দিয়ে চালানের হুমকি দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন মেট্টো আইনে চালান দেন। ঐ সময়ের ভূক্তভোগী ও তার পরিবারে লোকজনের বক্তব্য সংরক্ষিত রয়েছে।

বিগত সরকারে শাসন আমলে শাহপরাণ তিনি থানায় কর্মরত থাকাকালে শাহপরান আবাসিক এলাকার রয়েল সিটিতে সাড়ে চার ডিসিমেলের একটি টিন সেটের বাসা জমিসহ খরিদ করেন ইবায়দুল্লাহ। সেই বাসা কিনার অর্থ তিনি পেয়েছিলেন বালুচর এলাকার বাসিন্ধা ২০ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য নাদেল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। নাদেল এখন মামলায় পালাতক। শাহপরাণ থানায় কর্মরত থাকাকালে তিনি সরাসরি ভারতীয় চিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিলেন বলেন ঐ এলাকার এক সাংবাদিকসহ স্থানীয় কয়েকজন নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, উবায়দুল্লাহ সিলেটে চাকরির সুবাধে বিয়েও করেছেন দুটি। ১ম বিয়ে নিজ এলাকায় করলে ২য় বিয়ে করেন, লামাবাজার এলাকার বাসিন্ধা সাবেক মহিলা কাউন্সিলার শাহানা বেগম শানুর স্বামী তাজুল ইসলাম হত্যা মামলা সাজাপ্রাপ্ত কারাগারে থাকা পিচ্চি শাকিলের বোনকে। যদিও ঐ সংসারে বাজছে তার ভাঙ্গনের সুর।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo
error: Content is protected !!